করোনার কারণে ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হজ-এর আনুষ্ঠানিকতায় অংশগ্রহণ বিদেশিদের জন্য সীমিত করেছিল সৌদি আরব। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় চলতি বছর ব্যাপক সংখ্যক বিদেশি তীর্থযাত্রীকে পবিত্র হজের অনুমতি দিয়েছে দেশটি। এই অনুমতি দেওয়ার পর শনিবার বিদেশি তীর্থযাত্রীদের প্রথম একটি দল সৌদি আরবে পৌঁছেছে।
সৌদির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ইন্দোনেশিয়ার হজযাত্রীর একটি দল শনিবার মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছে। এসময় হজযাত্রীদের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ফুল, খেজুর ও জমজম পানীয় দিয়ে বরণ করা হয়। সৌদি বার্তা সংস্থার সূত্রে আরব নিউজ এ তথ্য জানায়।
আগামী মাসে হজের প্রস্তুতির জন্য পরবর্তী সপ্তাহে দক্ষিণাঞ্চলীয় পবিত্র নগরী মক্কায় যাবেন তারা।
রাষ্ট্র পরিচালিত টেলিভিশন চ্যানেল আল-এখবারিয়াকে দেশটির হজ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-বিজাবি বলেন, ‘আজ আমরা ইন্দোনেশিয়া থেকে চলতি বছরের তীর্থযাত্রীদের প্রথম দলকে পেয়েছি। পরবর্তীতে মালয়েশিয়া ও ভারত থেকে ফ্লাইট আসবে।’
হজযাত্রীদের জন্য সৌদি আরব পুরোপুরি প্রস্তুত জানিয়ে তিনি বলেন, অতিমারির কারণে দুই বছরের বিঘœতার পর আজ আমরা সৌদি আরবের বাইরের সৃষ্টিকর্তার মেহমানদের পেয়ে খুশি।
গত (দোসরা) জুন সৌদির হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রী তাওফিক ফাওজান আল রাবিয়াহ বলেন, এ বছর সারা বিশ্বের ১০ লাখ মুসলিম হজ পালন করতে পারবেন। এর মধ্যে সৌদি থেকে ১৫ শতাংশ ও সারা বিশ্ব থেকে ৮৫ শতাংশ হজযাত্রী থাকবে। এবার হজপালনের অনেক বেশি আবেদন থাকলেও হজযাত্রীদের নিরাপত্তা আমরা অগ্রাধিকার দিচ্ছি। কভিড-১৯ মহামারি থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে হজযাত্রীদের সর্বোত্তম সেবা দিতে কাজ চলছে।
খবরে জানা যায়, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ৮ জুলাই সৌদি আরবে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবারের হজে অংশ নিতে সবদেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে সংখ্যা নির্ধারণ করে দিয়েছে সৌদি আরব। সবচেয়ে বেশিসংখ্যক হাজি অংশ নেবে ইন্দোনেশিয়া থেকে। দেশটি থেকে এক লাখ ৫১ জন অংশ নেবে। পাকিস্তান থেকে ৮১ হাজার ১৩২, ভারত থেকে ৭৯ হাজার ২৩৭ জন এবং বাংলাদেশ থেকে ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজে অংশ নেবেন।